রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অবকাঠামোগুলোতে বিমান বিধ্বংসী মিসাইল মোতায়েন করা হয়েছে। মস্কোতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বেশকিছু ভবনের ছাদে গতকাল এসব মিসাইল বসানো হয়। বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে কার্যকর এসব মিসাইল দেখে মনে হচ্ছে রুশ কর্মকর্তারা মস্কোতে হামলার আশঙ্কা করছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
russia defense ministry pansir 1
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ছাদে মোতায়েন করা হয়েছে পান্টসির-১ মিসাইল সিস্টেম
advertisement
সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে মস্কভা নদীর তীরে একটি আটতলা ভবনের ছাদে পান্টসির-১ মিসাইল সিস্টেম দেখা যায়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনটিতে ভারী ক্রেনের সাহায্যে এ মিসাইল ওঠানোর কিছু ভিডিও শেয়ার করেছেন রুশ সামরিক ব্লগাররা।
আরেকটি ভিডিওতে মস্কোর তাগানকা এলাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের ছাদে একটি বিমান বিধ্বংসী মিসাইল ওঠাতে দেখা যায়। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে দেড় মাইল দক্ষিণ-পূর্বে ভবনটির অবস্থান।
advertisement
একইভাবে, মস্কোর আবাসিক এলাকার কাছে লোসিনি অস্ত্রোভ ন্যাশনাল পার্কে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য এস-৪০০ মিসাইল মোতায়েন দেখা গেছে।
স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার পান্টসির এন্টি এয়ার সিস্টেম সাধারণত বিমান, হেলিকপ্টার ও ক্রুজ মিসাইল হামলা ঠেকাতে ব্যবহার হয়। আরও ছোট টার্গেট যেমন সামরিক ও বাণিজ্যিক ড্রোনের বিরুদ্ধেও এসব মিসাইল ব্যবহার করা যায়।
advertisement
ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে জার্মানির রামস্টেইনে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পশ্চিমা দেশগুলোর বহুল আলোচিত বৈঠকের দিন মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে মিসাইল দেখা গেল। রামস্টেইন বৈঠক আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর আগেই ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক, রকেট সিস্টেম, সাঁজোয়া যানসহ বিপুল অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রায় এক ডজন দেশ।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার এরইমধ্যে প্যাট্রিয়ট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমসহ ইউক্রেনকে নতুন করে ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে। অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি ইউক্রেনের সৈন্যদের প্রশিক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
Read More:_রাশিয়ার সরকারি ভবনের ছাদে বিমান বিধ্বংসী মিসাইল
ইউক্রেনকে নতুন করে অগ্রসর প্রযুক্তির অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা। প্রথাগত যুদ্ধে রাশিয়া বেকায়দায় পড়লে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে বলেও তারা পরোক্ষভাবে জানিয়েছেন।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রভাবশালী ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, প্রথাগত যুদ্ধে পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশের পরাজয় পারমাণবিক যুদ্ধের সূচনা ঘটাতে পারে। এখন পর্যন্ত পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশ ভাগ্যনির্ধারণী যুদ্ধে হারেনি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সরকারি ভবনগুলোতে মিসাইল মোতায়েনের বিষয়ে রুশ কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম মস্কোতে দূরপাল্লার এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম মোতায়েনের কথা জানিয়েছে। এস-৪০০ ও পান্টসির-১ সিস্টেম সাধারণত পরস্পরের পাশাপাশি ব্যবহার হয়ে থাকে।