বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ২০১২ সালে সেঞ্চুরি করেছিলেন মোহাম্মদ শেহজাদ (১১৩)। এরপর কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তানিরা। এবারের বিপিএলে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন হলো তাদের। এক দশকের হাহাকার দূর করেছেন তারা। পাকিস্তানি কোনো ব্যাটার পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা।
পাকিস্তানি হিসেবে বিপিএলে সেঞ্চুরি করলেন ইফতিখার আহমেদ
একটি দুটি নয়, এবারের আসরে তিনটি সেঞ্চুরির সবকটিই করেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। কিছুদিন আগে ঢাকা পর্বে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটার। প্রথমে খুলনা টাইগার্সের জার্সিতে আজম খান করেন (১০৯ রান। তিনি পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মঈন খানের ছেলে। কিন্তু তার শতকটা বিফলে গেছে।
আজমের শতক ম্লান করে সেঞ্চুরি তুলে নেন উসমান খান। তার ব্যাট থেকে আসে ১০৩ রান। উসমানের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সবশেষ বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম পর্বে বিপিএল দেখেছে আসরের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এবার তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন ফরচুন বরিশালের ইফতিখার আহমেদ।
১৯২ রানের রেকর্ড জুটি গড়ার পথে সাকিব ও ইফতিখার
৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪৫ বলে ছয় চার ও নয় ছক্কায় কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রান করেন। তিনিই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। এই সেঞ্চুরি করার পথে বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৮৬ বলে ১৯২ রানের জুটি গড়েন তিনি। যা পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ এবং সবমিলিয়ে বিপিএলের তৃতীয় সেরা জুটি।
এই জুটির ওপর দাঁড়িয়ে চার উইকেটে ২৩৮ রান করে বরিশাল। সাকিবরা ভাগ বসিয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডে। চার উইকেটে সর্বোচ্চ ২৩৯ রানের রেকর্ডটা অবশ্য রংপুর রাইডার্সের দখলে। অল্পের জন্য এ যাত্রায় টিকে গেল রংপুরের রেকর্ড রানের ইনিংসটা।
Read More:_বিপিএল ২০২৩: পাকিস্তানের ‘হ্যাটট্রিক’
১০ বছর ধরে বিপিএলে শতকের দেখা পাচ্ছিলেন না পাকিস্তানিরা। অথচ এই আসরে তিন ম্যাচের সবকটিই তাদের দখলে। সবমিলিয়ে বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সেঞ্চুরি হলো চারটি। বিস্ময়কর হচ্ছে চারজনের প্রত্যেকেই ইনিংস শেষে অপরাজিত ছিলেন। সবচেয়ে বেশি ১৩টি সেঞ্চুরি আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদের।
ব্যক্তিগতভাবে সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চুরি আছে ক্যারিবীয় ড্যাশিং ওপেনার ক্রিস গেইলের। এ ছাড়া বিপিএলে একাধিক সেঞ্চুরি আছে তার স্বদেশি আন্দ্রে ফ্লেচার, এভিন লুইসের। ক্যারিবীয়দের বাইরে বাংলাদেশের তামিম ইকবালের দুই সেঞ্চুরির উদাহরণ আছে। সবমিলিয়ে টাইগারদের শতক সংখ্যা পাঁচটি।