মেসি শুরু থেকেই খেলছিলেন বার্সেলোনায়। তবে যে সময় থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তার প্রতিদ্বন্দ্বী দল রিয়াল মাদ্রিদে পা রাখলেন, তখন যেন একসাথে অনেক কিছুই পাল্টে গেল। বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ খেলার সূচি পড়লেই অন্যরকম এক উত্তেজনা শুরু হতো বিশ্বজুড়ে। ব্যক্তিগত দ্বৈরথ অথবা দলীয়; সবগুলো যেন সমান তালে চলতে থাকলো। দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর ছায়ায় যেন দুই পরম স্বজন। সম্প্রতি আবার চোখে পড়লো সেই দৃশ্য। সবাই দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবছে, আর কি দেখা যাবে এই দৃশ্য!
দুই বন্ধুর হবে কি আর দেখা খেলার মাঠে?
Read More:_আর কি দেখা যাবে এই দৃশ্য?
দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর খ্যাতিমান হয়ে ওঠা, তালিকার শীর্ষে থাকার বিষয়গুলো যেন পরস্পরের অবদানেই ধন্য হলো। উভয়েই তো খেলছিলেন অনেক আগে থেকেই। কিন্তু একই লিগে অর্থাৎ স্প্যানিশ লা লিগায় আসার পর যেভাবে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পেলেন, তা আগে আর কবে হয়েছিল?
উভয়ের ভক্ত-সমর্থকরা মনে করেন, উভয়ের মধ্যে পূর্ণতা এসেছিল তারা লা লিগায় থাকতেই। যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বীর মোকাবেলায় তারা দিনে দিনে নিজেদের আরও যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন, যা এক দলে থাকলেও হয়তো সম্ভব হতো না। নেইমার যেমন মেসির ছায়া সরিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর তাগিদে পিএসজিতে চলে এসেছিল, একই দলে থাকলে মেসি-রোনালদোর পরিণতিও হতে পারতো তেমনই। কিন্তু সেটা হয়নি। বরং প্রতিদ্বন্দ্বী দলে থাকায় উভয়েই ছিলেন স্বমহিমায়।
মেসির এ চাউনিও ওঠে এসেছে আলোচনায়
মেসি-রোনালদো একে অপরকে সমীহ করতেন। তাদের মধ্যে তেমন বিবাদের কোনো খবরও পাওয়া যায়নি। হয়তো অতিরিক্ত বন্ধুত্ব ছিল না। কিন্তু পরস্পরকে সম্মান করেই চলতেন তারা। তবে রোনালদোর রিয়াল এবং মেসির বার্সেলোনা ছেড়ে ভিন্ন দুটি লিগে যোগ দেওয়ায় তাদের মধ্যে ফের মাঠের সাক্ষাতের আশা খুবই ক্ষীণ হয়ে আসছিল।